সাপ্তাহিক রাশিফল, মাসিক রাশিফল

সাপ্তাহিক রাশিফল, মাসিক রাশিফল
সাপ্তাহিক রাশিফল, মাসিক রাশিফল

ঠাকুর ঘর কীভাবে সাজাবেন, ঠাকুরঘরে ঠাকুরের মুখ কোনদিকে রাখা উচিত জানেন ? , ঠাকুর ঘর কেমনভাবে সাজালে বাড়বে ধনসম্পত্তি ফিরবে শান্তি জানুন,

 আপনার বাড়ীর ঠাকুর ঘর কীভাবে সাজাবেন




ঠাকুর ঘর কেমনভাবে সাজালে বাড়বে ধনসম্পত্তি, ফিরবে শান্তি,জানুন





ঠাকুরঘরে ঠাকুরের মুখ কোনদিকে রাখা উচিত জানেন ?

আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বাড়ীতে পূজার্চনা করে থাকি। কিন্তু ঠাকুর ঘর সম্পর্কে বাস্তুবিদ কি বলে থাকেন, তা জানি না। আসুন, জেনে নিই, বাড়ীর ঠাকুরঘর কি রকম হওয়া উচিত ----


• বাড়ীর শোবার ঘরকে কখনোই ঠাকুর ঘর করবেন না, বা ঠাকুর রাখবেন না। রাখলেও কিছু নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।


• শোবার ঘরে ঠাকুরের ক্যালেন্ডার রাখাও উচিত নয়।


• আপনাদের বাড়ীর টয়লেট ঘরের পাশেও কখনো ঠাকুর ঘর করবেন না। কারন এতে সেই পবিবারের সদস্যদের মানসিক পবিত্রতা ধীরে ধীরে কমে যায়।


• ঠাকুর ঘর সাধারনত বাড়ীর উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) তৈরী করা সবথেকে শুভ। তবে উত্তর-পূর্ব কোণ (ঈশাণ কোণ) ছাড়াও বাড়ীর পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর তৈরী করা যেতে পারে।


• আপনারা কখনোই ঘরের কিংবা বাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে (নৈঋত কোণ) ঠাকুর ঘর করবেন না,এটা ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র মতে চরম অশুভ, এর প্রভাবে সেই বাড়ীতে পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনো কারনে পুলিশি ঝামেলা কিংবা আইনগত ঝামেলা চলে আসতে পারে।


• ঠাকুর ঘরে পুজার জন্য ব্যবহৃত গঙ্গা জল সর্বদাই আপনারা গঙ্গায় জোয়ারের সময়ই নিয়ে আসবেন, কারন হিন্দুধর্ম অনুসারে যেকোনো ধর্মীয় পুজার সময় জোয়ারের সময়ের গঙ্গা জলই সেই পুজাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।


• অনেকেই ঠাকুর ঘর বাড়ীর ছাদে তৈরী করেন, কিন্তু এটা ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র মতে খুব অশুভ না হলেও,ছাদে ঠাকুর ঘর করা উচিত নয়,আমাদের হিন্দুধর্ম মতে আমাদের বসবাসের পাশেই ভগবানকে রাখা উচিত, তাই আমরা যেখানে থাকবো বাড়ীর সেই তলাতেই উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশাণ কোণ) ঠাকুর ঘর করা উচিত।


• আপনারা কখনোই ঠাকুর ঘরে ঝুল বা কালি জমতে দেবেন না, কারণ এটা অশুভ। এর জন্য পরিবারের কেউ কিংবা অন্য কেউ গুপ্ত শত্রুতা করতে পারে, তাই আপনারা যতটা পারবেন ঠাকুর ঘরের ঝুল সর্বদা পরিস্কার করার চেষ্টা করবেন।


• ঠাকুর ঘরে একই দেবতার ছবি কিংবা মূর্তি একাধিক রাখা উচিত নয়, কারন তাতে পুজা করলেও সেই পূজার ফল কিছুই পাওয়া যায় না, তাই যেকোনো দেবতার ছবি একটা রাখাই শুভ।


• আপনার আরাধ্য দেবতার প্রকার ভেদে ঘরের পরিমাপ করা প্রয়োজন।


• ঘরের উচ্চতা ১০.৫ ফুট, গম্বুজার হলে উচ্চতার সঙ্গে আরো ৫.০০ ফুট করা যেতে পারে।


• সাধারন রং- নীলাভ, সিলিং- সাদা, কিন্তু দেবতা ও জাতকের রাশি বা বাস্তুদোষ ভেদে রং-এর পরিবর্তন করতে হবে।


• ঠাকুর ঘরের আলোর ক্ষেত্রে উজ্বলতা বা আলোর  দীপন প্রাবাল্য যেন ৪০ওয়াট এর কম না হয়। প্রয়োজনে  অধিক আলো দ্বারা শোভাবর্ধন করা যেতে পারে।


• সিংহাসন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলতে গেলে, আমরা যে স্থানে বসে আরাধনা করবো তার থেকে আনুমানিক ০.৫০-১.০০ ফুট উঁচু উচ্চতার সিংহাসন-এ দেবতার মুর্তি বা চিত্র স্থাপনা করা যেতে পারে, এতে সাধারন চোখে মনুষ্য ও দেবতার আসন পার্থক্য করলেও সেই পার্থক্য যে কি বিশাল তার কোন পরিমান করা সম্ভব নয়। অনেকে দেবতার শয়ন, জাগরন, ভোগ প্রভৃতি কিছু বিশেষ ক্রিয়া পালন করেন, সে ক্ষেত্রে সিংহাসন ব্যবহার বাধ্যতামুলক।




===========================================

About Love Status

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment

আরো বিষয় পড়ুন

আপনি জানেন কি মানিপ্ল্যান্ট গাছের গুনাগুণ সম্বন্ধে? , মানিপ্ল্যান্ট গাছ , মানিপ্ল্যান্ট গাছের গুনাগুণ

  আপনি জানেন কি মানিপ্ল্যান্ট গাছের গুনাগুণ সম্বন্ধে? কিংবা জানলেও এটি জানেন কি  কিভাবে এদের বড় করবেন আপনার বাড়ির আঙিনায়? আসুন এসকল তথ্...