আপনি জানেন কি মানিপ্ল্যান্ট গাছের গুনাগুণ সম্বন্ধে? কিংবা জানলেও এটি জানেন কি কিভাবে এদের বড় করবেন আপনার বাড়ির আঙিনায়?
আসুন এসকল তথ্য জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে!
আমরা আপনাকে মানিপ্ল্যান্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করব! এই আর্টিকেল পড়লে আপনি জানবেন কিভাবে মানিপ্ল্যান্ট গাছ এর যত্ন-আত্তি ও গুনাগুণসমূহ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে যে 10 ta বায়ু শোধনকারী গাছ। এর মধ্যে মানিপ্ল্যান্ট গাছ অন্যতম কারণ এটি বায়ুমণ্ডলে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট করে ফেলে। এছাড়াও এটি সুপ্রসন্ন ভাগ্যর চিহ্ন হিসেবে পরিচিত। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, যে ঘরে মানিপ্ল্যান্ট গাছ আছে সে ঘরের সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকে এটি ঘরের টবে লাগিয়ে রাখেন।
● কৃষকেরা মানিপ্ল্যান্ট গাছকে বাতাস পরিষ্কারক হিসেবে চাষ করেন। ব্যবসায়ে অত্যাধিক লাভ এর আশায় বাড়িতে, অফিসে, বিপণন কেন্দ্র গুলোতে মানিপ্ল্যান্ট রাখা হয়। আপনি যদি এর সঠিক উপায় যত্ন সম্পর্কে জানেন তবে খুব সহজেই এর যত্ন-আত্তি নিতে পারবেন।
● মানিপ্ল্যান্ট Good Luck ট্রি, সিলভার ভাইন, ত্যারো ভাইন, হান্টারস রোব, সোলোমন আইল্যান্ড আইভি এবং ডেভিলস আইভি নামে পরিচিত.
● Araceae পরিবারের গাছ হল এই মানিপ্ল্যান্ট।এরা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার সাথে বেশ ভালো খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
● আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে কিংবা প্রখর রৌদ্রে কি ঘরে কি বাইরে সকল পরিবেশে এরা বেশ সহজেই বড় হয়। ঘরোয়া মানিপ্ল্যান্ট গুলো ২/৩ ফিট উঁচু হয় যেগুলোর এরিয়েল মূল আছে। পাতাগুলো হৃদয়াকৃতির হয়ে থাকে
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে যে 10 ta বায়ু শোধনকারী গাছ। এর মধ্যে মানিপ্ল্যান্ট গাছ অন্যতম কারণ এটি বায়ুমণ্ডলে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট করে ফেলে। এছাড়াও এটি সুপ্রসন্ন ভাগ্যর চিহ্ন হিসেবে পরিচিত। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, যে ঘরে মানিপ্ল্যান্ট গাছ আছে সে ঘরের সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকে এটি ঘরের টবে লাগিয়ে রাখেন।
● কৃষকেরা মানিপ্ল্যান্ট গাছকে বাতাস পরিষ্কারক হিসেবে চাষ করেন। ব্যবসায়ে অত্যাধিক লাভ এর আশায় বাড়িতে, অফিসে, বিপণন কেন্দ্র গুলোতে মানিপ্ল্যান্ট রাখা হয়। আপনি যদি এর সঠিক উপায় যত্ন সম্পর্কে জানেন তবে খুব সহজেই এর যত্ন-আত্তি নিতে পারবেন।
● মানিপ্ল্যান্ট Good Luck ট্রি, সিলভার ভাইন, ত্যারো ভাইন, হান্টারস রোব, সোলোমন আইল্যান্ড আইভি এবং ডেভিলস আইভি নামে পরিচিত.
● Araceae পরিবারের গাছ হল এই মানিপ্ল্যান্ট।এরা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার সাথে বেশ ভালো খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
● আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে কিংবা প্রখর রৌদ্রে কি ঘরে কি বাইরে সকল পরিবেশে এরা বেশ সহজেই বড় হয়। ঘরোয়া মানিপ্ল্যান্ট গুলো ২/৩ ফিট উঁচু হয় যেগুলোর এরিয়েল মূল আছে। পাতাগুলো হৃদয়াকৃতির হয়ে থাকে
(White, হলুদ বা হালকা Green রঙ).
বীজের জাত
মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদের বীজ বাজার থেকে কিনে পটে লাগাবেন। এছাড়াও আপনার বন্ধুদের থেকে কিংবা আপনার প্রতিবেশীর কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন.বীজ বপন করার আগে খেয়াল রাখতে হবে যে বীজগুলো যেন ভেজা না হয়, পুরোপুরি শুকনো ও পরিষ্কার হতে হবে। পরিষ্কার করার জন্য উষ্ণ তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। এরপর বীজ পট কিংবা কন্টেইনারে বপন করুন।
মাটি এবং পাত্র নির্বাচন
এমন একটি পট নির্বাচন করুন যাতে মানি প্ল্যান্ট গাছ হেলে পড়ে না যায়। ঘরোয়া উপায়ে মানিপ্ল্যান্ট লাগাতে চাইলে ৬ ইঞ্চির একটি পট নিন। শুরুতে আপনি চাইলে মাটি, সিরামিক বা প্লাস্টিকের পট নিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন গাছটি বড় হবে ও তখন বড় পট ব্যবহার করবেন।
মানিপ্ল্যান্টে জল দেবার কিছু নিয়ম:
যখনি গাছের সামান্য উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে তখনি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে গাছে জল দিন। যখন গাছটি বড় হবে তখন প্রতি সপ্তাহে ২/৩ ইঞ্চি পানি শোষণ করতে পারে যখন মাটি পুরোপুরি শুকনো থাকে।
গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হয় যদি আপনি ঘরের তাপমাত্রায় এটিকে রাখতে পারেন। মানিপ্ল্যান্ট ঠান্ডা আবহাওয়ার চেয়ে গরম আবহাওয়া বেশি সহ্য করতে পারে। ঘরোয়া মানিপ্ল্যান্ট গাছ এর জন্য ৭২ফারেনহাইট হল উপযুক্ত তাপমাত্রা। যদি তাপমাত্রা ৫৫ ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায় তবে গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
মানিপ্ল্যান্ট গাছ কাটছাঁট করার উপযুক্ত সময় হল শীতকাল, তবে এটি করা আসলে খুব একটা জরুরী না! আপনি যদি দুর্বল ও ছোট পাতা ছেঁটে ফেলে নতুন সতেজ পাতা গজাতে চান তবে বছরে একবার না করে, যেকোনো সময় কাটছাঁট করতে পারেন ।
বসন্ত কিংবা গ্রীষ্মে গাছকে পুনরায় লাগান করুন কারন এ সময়ে গাছ খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যেহেতু গাছ প্রতি বছর বড় হয় তাই আপনাকে প্রতি বছরই বড় পটে স্থানান্তর করতে হবে।
সার প্রয়োগ
বসন্ত ও গ্রীষ্মে প্রতি ২ সপ্তাহে একবার সার প্রয়োগ করতে হবে। মানিপ্ল্যান্ট এর বৃদ্ধির হার একে যে পটে রাখা হয় সে পটের আকৃতির উপর নির্ভর করে। এছাড়াও তরল NPK সার, জৈব সার বা গোবর দিতে পারেন। তবে ডিমের খোসা, ইপসম লবণ এবং বেকিং সোডা এর বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী ।
কখনোই এর বৃদ্ধির সময় ব্যতীত সার প্রয়োগ করবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে। গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।
কিভাবে মানিপ্ল্যান্ট গাছ অঙ্গজ প্রজনন করা যায়?
কান্ড কেটে লাগালে নতুন মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ পাওয়া যায় যা বীজের সাহায্যে গাছ জন্মের তুলনায় সহজ। মাটিতে যেকোনো স্থানে লাগানো যায়।
মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট গাছের বৃদ্ধি যেভাবে করবেন
একটি ২০-৩০ সেমি কান্ড যেখানে পাতা গজায় সেখানে ৪৫° কোণে কেটে নিন। শাখাটিতে কমপক্ষে তিনটি নোড অবশ্যই আছে কিনা দেখে নিন।
এক গ্লাস বা জারের গাছ কাটা কান্ড রেখে দিন। নূন্যতম একটি কান্ড পানিতে ডুবে আছে কিনা দেখে নিন।জারটিকে জানালার কাছাকাছি রাখুন যাতে কমপক্ষে ছয় ঘন্টা সূর্যালোক পায়। কিছু সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মূল গজাবে ও বৃদ্ধি পাবে।
পাত্রের গাছ সপ্তাহে একবার বা দুইবার বদল করবেন।
যেভাবে মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট বড় করবেন
জল ছাড়াই গাছের মূলের সাহায্যে মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট চাষ করতে পারেন। অধিকাংশ মানুষ এই পদ্ধতিকে অধিক উপযুক্ত মনে করেন।
মাটিতে চাষ করার পদ্ধতি
স্বাস্থ্যবান কান্ড নিন যার উচ্চতা ২০-৩০ সেমি হয়, যেন ঘরের বাইরে ভালোমত জন্মাতে পারে। সহজেই পানি নিষ্কাশন করতে পারে এমন মাটিতে কান্ডের অংশ লাগান। বালি, ক্লে বা পটিং মাটিও মিশিয়ে নিতে পারেন। যতদিন না পর্যন্ত মূল পরিপূর্ণ হবে আর গাছ দ্রুত বৃদ্ধি না পায় ততদিন পর্যন্ত জল দিয়ে যাবেন। ২ বার সফলভাবে জল দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ে মাটি শুকাতে সময় দিন। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি দিবেন না এতে করে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়, কুঁকড়ে যাওয়া সহ আরো সমস্যা দেখা দেয়। মাটির ধরন বুঝে পরিমিত পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হবে।
মানিপ্ল্যান্টের গাছের যত্ন-আত্তি
২-৩ বছর পর পর পাত্র বদলাবেন। আগাছা ছেঁটে দিলে গাছ সুন্দর দেখাবে। শীতকালে গাছের অধিক পরিমাণে জল দরকার নেই তাই কম পানি দিলেও চলবে। গাছ শুকনো হয়ে গেলে গাছের গোড়ায় ভিজে খড়,পাতা দিবেন । গাছকে যতোটা সম্ভব সূর্যালোকের কাছে রাখতে হবে। তবে অত্যাধিক গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে রাখা যাবে না।
গাছের বৃদ্ধির সাথে সাথে গাছকে বড় পাত্রে স্থানান্তর করবেন।
মানিপ্ল্যান্ট একটি দ্বিবার্ষিক ফুলের উদ্ভিদ । সাদা সিলভার রঙের বীজশুটিঁ চ্যাপ্টা আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে ও গ্রীষ্মে বেগুনি রঙের ফুল হয় ।
কিভাবে মানিপ্ল্যান্ট গাছের বীজ সংগ্রহ করব?
যখনি বীজের শুটি শুকায়া যাবে মানিপ্ল্যান্ট, সংগ্রহ করুন। বীজশুটি গুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুকাতে দিন। এরপর শুকনো বীজের শুটি থেকে সমতল আকৃতির বীজ সংগ্রহ করুন। ঠান্ডা ও শুকনো পরিবেশে বীজগুলো সংগ্রহ করুন্
মানিপ্ল্যান্ট গাছের পাতা হলুদ হয় কেন?
১) প্রখর সূর্যালোকে
২) অধিক বা প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি দিলে
৩) দিনে ও রাতে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তনে
৪) পুষ্টির অভাবে।
মানি প্ল্যান্ট গাছের চাহিদা খুবই বেশি। কেউ সুন্দর বোতলে, কেউ টবে আবার কেউ মাটিতেই লাগাচ্ছেন এই 'টাকার গাছ'। না, এই গাছ বাড়িতে লাগালেই যে সেখান থেকে টাকা তোলা যাবে এমন নয়, বরং বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখতে পারলে তার উপকারিতা অনেক। বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখলে নাকি মন ভালো হয়। যাবতীয় নেতিবাচকতা মন থেকে দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে গাছ রাখলেই কিন্তু ঘরের শোভা বাড়ে। আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগৈচ্ছেন। বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ। সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি। সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের। ইন্ডোর প্ল্যান্টের তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছে মানি প্ল্যান্ট। সুন্দর কাঁচের জারে বা বোতলে এই গাছ সাজিয়ে রাখলে কিন্তু দেখতে বেশ ভালো লাগে। মানি প্ল্যান্টেরও অনেক ধরণ রয়েছে। এক একরকম গাছের যত্নও ভিন্ন হয়। সেই সঙ্গে যদি ঠিক জায়গায় এই গাছ রাখতে পারেন তাহলে অনেক রকম উপকার পাবেন।
মানি প্ল্যান্টের চাহিদা খুবই বেশি। কেউ সুন্দর বোতলে, কেউ টবে আবার কেউ মাটিতেই লাগাচ্ছেন এই 'টাকার গাছ'। না, এই গাছ বাড়িতে লাগালেই যে সেখান থেকে টাকা তোলা যাবে এমন নয়, বরং বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখতে পারলে তার উপকারিতা অনেক। বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখলে নাকি মন ভালো হয়। যাবতীয় নেতিবাচকতা মন থেকে দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে গাছ রাখলেই কিন্তু ঘরের শোভা বাড়ে। আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগৈচ্ছেন। বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ। সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি। সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের। ইন্ডোর প্ল্যান্টের তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছে মানি প্ল্যান্ট। সুন্দর কাঁচের জারে বা বোতলে এই গাছ সাজিয়ে রাখলে কিন্তু দেখতে বেশ ভালো লাগে। মানি প্ল্যান্টেরও অনেক ধরণ রয়েছে। এক একরকম গাছের যত্নও ভিন্ন হয়। সেই সঙ্গে যদি ঠিক জায়গায় এই গাছ রাখতে পারেন তাহলে অনেক রকম উপকার পাবেন।
মানিপ্ল্যান্ট গাছ সবথেকে বেশি ভালো বাড়ে বাড়ির মধ্যে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিতে হবে। আর সার কিন্তু একেবারেই দেবেন না। গাছ যেন শুকনো না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখুন
আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগাচ্ছেন।
বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ।
সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি।
সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের
বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট থাকলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, নয়তো ফল হতে পারে বিপরীত
বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারত উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। দৈনন্দিন জীবনে অর্থভাগ্য উন্নত রাখলে বাড়ির নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট জিনিস রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বাস্তুবিশারদরা।
আরও পড়ুন- বৈশাখ মাসের একাদশীতে খাদ্য ও জল দান, সোনা দানের থেকেও বেশি ফল দেয়
বাস্তু টিপস আমাদের বাড়ির ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং নেতিবাচকতা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। অনেকই ঘর সাজানোর জন্য বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট রাখেন। তবে বাস্তুমতে, যদি মানি প্ল্যান্টটি ঘরের সঠিক দিকে রাখা না হয় তবে ঘরের পরিবেশে নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর যদি বাস্তুর নিয়ম মেনে সঠিক দিকে রাখা হয় তবে তা ঘরে ইতিবাচক থাকে এবং অর্থ সংক্রান্ত কাজে বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। বাস্তুবিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
অগ্নি কোণ অর্থাত্ দক্ষিণ-পূর্বকে বাড়িতে অর্থোপার্জ বৃ্দ্ধির জন্য সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি এই দিকটিতে রোপণ করার মাধ্যমে ধনাত্মক শক্তি বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ-পূর্ব দিকের কার্যকারক গ্রহটি শুক্র। শুক্রের দিকের দিকে এই গাছ থাকার ফলে আর্থিক দিক উন্নতি হয়।
মানি প্ল্যান্ট গাছ বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত নয়। বৃহস্পতি উত্তর-পূর্ব কোণে একটি উপাদান। শুক্র এবং বৃহস্পতি উভয়ই একে অপরের শত্রু। এ কারণে শুক্রের উদ্ভিদটি উত্তর-পূর্ব দিকে রোপণ করা উচিত নয়।
মানিপ্ল্যান্ট গাছ যত সবুজ হয় ততই শুভ। এর পাতাগুলি বিবর্ণ, হলুদ বা সাদাকে অশুভ বিবেচনা করা হয়। এজন্য এর খারাপ পাতা অবিলম্বে ছিঁড়ে ফেলা উচিত। গাছটি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত।
বাড়িতে মানি প্ল্যান্টও রাখলে আর্থিক উন্নতি হয়। তবে এতে সময়ে সময়ে জল দেওয়া উচিত ও পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া উচিত।
মানি প্ল্যান্ট একটি লতা জাতীয় গাছ। তাই এটি উপরের দিকে যাতে সঠিক ভাবে বাইতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এই গাছটি যদি মাটিতে ছড়িয়ে যায় তবে বাস্তু দোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বীজের জাত
মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদের বীজ বাজার থেকে কিনে পটে লাগাবেন। এছাড়াও আপনার বন্ধুদের থেকে কিংবা আপনার প্রতিবেশীর কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন.বীজ বপন করার আগে খেয়াল রাখতে হবে যে বীজগুলো যেন ভেজা না হয়, পুরোপুরি শুকনো ও পরিষ্কার হতে হবে। পরিষ্কার করার জন্য উষ্ণ তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। এরপর বীজ পট কিংবা কন্টেইনারে বপন করুন।
মাটি এবং পাত্র নির্বাচন
এমন একটি পট নির্বাচন করুন যাতে মানি প্ল্যান্ট গাছ হেলে পড়ে না যায়। ঘরোয়া উপায়ে মানিপ্ল্যান্ট লাগাতে চাইলে ৬ ইঞ্চির একটি পট নিন। শুরুতে আপনি চাইলে মাটি, সিরামিক বা প্লাস্টিকের পট নিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন গাছটি বড় হবে ও তখন বড় পট ব্যবহার করবেন।
মানিপ্ল্যান্টে জল দেবার কিছু নিয়ম:
যখনি গাছের সামান্য উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে তখনি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে গাছে জল দিন। যখন গাছটি বড় হবে তখন প্রতি সপ্তাহে ২/৩ ইঞ্চি পানি শোষণ করতে পারে যখন মাটি পুরোপুরি শুকনো থাকে।
গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হয় যদি আপনি ঘরের তাপমাত্রায় এটিকে রাখতে পারেন। মানিপ্ল্যান্ট ঠান্ডা আবহাওয়ার চেয়ে গরম আবহাওয়া বেশি সহ্য করতে পারে। ঘরোয়া মানিপ্ল্যান্ট গাছ এর জন্য ৭২ফারেনহাইট হল উপযুক্ত তাপমাত্রা। যদি তাপমাত্রা ৫৫ ফারেনহাইটের নিচে নেমে যায় তবে গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।
গাছ কাটছাঁট করা এবং পুনরায় রোপোন করা
মানিপ্ল্যান্ট গাছ কাটছাঁট করার উপযুক্ত সময় হল শীতকাল, তবে এটি করা আসলে খুব একটা জরুরী না! আপনি যদি দুর্বল ও ছোট পাতা ছেঁটে ফেলে নতুন সতেজ পাতা গজাতে চান তবে বছরে একবার না করে, যেকোনো সময় কাটছাঁট করতে পারেন ।
বসন্ত কিংবা গ্রীষ্মে গাছকে পুনরায় লাগান করুন কারন এ সময়ে গাছ খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যেহেতু গাছ প্রতি বছর বড় হয় তাই আপনাকে প্রতি বছরই বড় পটে স্থানান্তর করতে হবে।
সার প্রয়োগ
বসন্ত ও গ্রীষ্মে প্রতি ২ সপ্তাহে একবার সার প্রয়োগ করতে হবে। মানিপ্ল্যান্ট এর বৃদ্ধির হার একে যে পটে রাখা হয় সে পটের আকৃতির উপর নির্ভর করে। এছাড়াও তরল NPK সার, জৈব সার বা গোবর দিতে পারেন। তবে ডিমের খোসা, ইপসম লবণ এবং বেকিং সোডা এর বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী ।
কখনোই এর বৃদ্ধির সময় ব্যতীত সার প্রয়োগ করবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে। গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।
কিভাবে মানিপ্ল্যান্ট গাছ অঙ্গজ প্রজনন করা যায়?
কান্ড কেটে লাগালে নতুন মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ পাওয়া যায় যা বীজের সাহায্যে গাছ জন্মের তুলনায় সহজ। মাটিতে যেকোনো স্থানে লাগানো যায়।
মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট গাছের বৃদ্ধি যেভাবে করবেন
একটি ২০-৩০ সেমি কান্ড যেখানে পাতা গজায় সেখানে ৪৫° কোণে কেটে নিন। শাখাটিতে কমপক্ষে তিনটি নোড অবশ্যই আছে কিনা দেখে নিন।
এক গ্লাস বা জারের গাছ কাটা কান্ড রেখে দিন। নূন্যতম একটি কান্ড পানিতে ডুবে আছে কিনা দেখে নিন।জারটিকে জানালার কাছাকাছি রাখুন যাতে কমপক্ষে ছয় ঘন্টা সূর্যালোক পায়। কিছু সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মূল গজাবে ও বৃদ্ধি পাবে।
পাত্রের গাছ সপ্তাহে একবার বা দুইবার বদল করবেন।
যেভাবে মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট বড় করবেন
জল ছাড়াই গাছের মূলের সাহায্যে মাটিতে মানিপ্ল্যান্ট চাষ করতে পারেন। অধিকাংশ মানুষ এই পদ্ধতিকে অধিক উপযুক্ত মনে করেন।
মাটিতে চাষ করার পদ্ধতি
স্বাস্থ্যবান কান্ড নিন যার উচ্চতা ২০-৩০ সেমি হয়, যেন ঘরের বাইরে ভালোমত জন্মাতে পারে। সহজেই পানি নিষ্কাশন করতে পারে এমন মাটিতে কান্ডের অংশ লাগান। বালি, ক্লে বা পটিং মাটিও মিশিয়ে নিতে পারেন। যতদিন না পর্যন্ত মূল পরিপূর্ণ হবে আর গাছ দ্রুত বৃদ্ধি না পায় ততদিন পর্যন্ত জল দিয়ে যাবেন। ২ বার সফলভাবে জল দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ে মাটি শুকাতে সময় দিন। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি দিবেন না এতে করে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়, কুঁকড়ে যাওয়া সহ আরো সমস্যা দেখা দেয়। মাটির ধরন বুঝে পরিমিত পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হবে।
মানিপ্ল্যান্টের গাছের যত্ন-আত্তি
২-৩ বছর পর পর পাত্র বদলাবেন। আগাছা ছেঁটে দিলে গাছ সুন্দর দেখাবে। শীতকালে গাছের অধিক পরিমাণে জল দরকার নেই তাই কম পানি দিলেও চলবে। গাছ শুকনো হয়ে গেলে গাছের গোড়ায় ভিজে খড়,পাতা দিবেন । গাছকে যতোটা সম্ভব সূর্যালোকের কাছে রাখতে হবে। তবে অত্যাধিক গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে রাখা যাবে না।
গাছের বৃদ্ধির সাথে সাথে গাছকে বড় পাত্রে স্থানান্তর করবেন।
মানিপ্ল্যান্ট কি ফুল দেয়?
মানিপ্ল্যান্ট একটি দ্বিবার্ষিক ফুলের উদ্ভিদ । সাদা সিলভার রঙের বীজশুটিঁ চ্যাপ্টা আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে ও গ্রীষ্মে বেগুনি রঙের ফুল হয় ।
কিভাবে মানিপ্ল্যান্ট গাছের বীজ সংগ্রহ করব?
যখনি বীজের শুটি শুকায়া যাবে মানিপ্ল্যান্ট, সংগ্রহ করুন। বীজশুটি গুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুকাতে দিন। এরপর শুকনো বীজের শুটি থেকে সমতল আকৃতির বীজ সংগ্রহ করুন। ঠান্ডা ও শুকনো পরিবেশে বীজগুলো সংগ্রহ করুন্
মানিপ্ল্যান্ট গাছের পাতা হলুদ হয় কেন?
১) প্রখর সূর্যালোকে
২) অধিক বা প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি দিলে
৩) দিনে ও রাতে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তনে
৪) পুষ্টির অভাবে।
মানি প্ল্যান্ট গাছের চাহিদা খুবই বেশি। কেউ সুন্দর বোতলে, কেউ টবে আবার কেউ মাটিতেই লাগাচ্ছেন এই 'টাকার গাছ'। না, এই গাছ বাড়িতে লাগালেই যে সেখান থেকে টাকা তোলা যাবে এমন নয়, বরং বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখতে পারলে তার উপকারিতা অনেক। বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখলে নাকি মন ভালো হয়। যাবতীয় নেতিবাচকতা মন থেকে দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে গাছ রাখলেই কিন্তু ঘরের শোভা বাড়ে। আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগৈচ্ছেন। বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ। সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি। সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের। ইন্ডোর প্ল্যান্টের তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছে মানি প্ল্যান্ট। সুন্দর কাঁচের জারে বা বোতলে এই গাছ সাজিয়ে রাখলে কিন্তু দেখতে বেশ ভালো লাগে। মানি প্ল্যান্টেরও অনেক ধরণ রয়েছে। এক একরকম গাছের যত্নও ভিন্ন হয়। সেই সঙ্গে যদি ঠিক জায়গায় এই গাছ রাখতে পারেন তাহলে অনেক রকম উপকার পাবেন।
মানি প্ল্যান্টের চাহিদা খুবই বেশি। কেউ সুন্দর বোতলে, কেউ টবে আবার কেউ মাটিতেই লাগাচ্ছেন এই 'টাকার গাছ'। না, এই গাছ বাড়িতে লাগালেই যে সেখান থেকে টাকা তোলা যাবে এমন নয়, বরং বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখতে পারলে তার উপকারিতা অনেক। বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে রাখলে নাকি মন ভালো হয়। যাবতীয় নেতিবাচকতা মন থেকে দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে গাছ রাখলেই কিন্তু ঘরের শোভা বাড়ে। আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগৈচ্ছেন। বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ। সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি। সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের। ইন্ডোর প্ল্যান্টের তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছে মানি প্ল্যান্ট। সুন্দর কাঁচের জারে বা বোতলে এই গাছ সাজিয়ে রাখলে কিন্তু দেখতে বেশ ভালো লাগে। মানি প্ল্যান্টেরও অনেক ধরণ রয়েছে। এক একরকম গাছের যত্নও ভিন্ন হয়। সেই সঙ্গে যদি ঠিক জায়গায় এই গাছ রাখতে পারেন তাহলে অনেক রকম উপকার পাবেন।
'মানি'র জন্য যেভাবে যত্ন নেবেন Money Plants-এর
মানিপ্ল্যান্ট গাছ সবথেকে বেশি ভালো বাড়ে বাড়ির মধ্যে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিতে হবে। আর সার কিন্তু একেবারেই দেবেন না। গাছ যেন শুকনো না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখুন
আজকাল লকডাউনে অনেকেই বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট লাগাচ্ছেন।
বিয়ে, জন্মদিন, রাখিতে উপহারও দিচ্ছেন গাছ।
সেই সঙ্গে ইদানিং সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সারি।
সেই সব জায়গায় কিন্তু সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের
মানি প্ল্যান্ট
বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট থাকলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, নয়তো ফল হতে পারে বিপরীত
বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারত উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। দৈনন্দিন জীবনে অর্থভাগ্য উন্নত রাখলে বাড়ির নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট জিনিস রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বাস্তুবিশারদরা।
আরও পড়ুন- বৈশাখ মাসের একাদশীতে খাদ্য ও জল দান, সোনা দানের থেকেও বেশি ফল দেয়
বাস্তু টিপস আমাদের বাড়ির ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং নেতিবাচকতা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। অনেকই ঘর সাজানোর জন্য বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট রাখেন। তবে বাস্তুমতে, যদি মানি প্ল্যান্টটি ঘরের সঠিক দিকে রাখা না হয় তবে ঘরের পরিবেশে নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আর যদি বাস্তুর নিয়ম মেনে সঠিক দিকে রাখা হয় তবে তা ঘরে ইতিবাচক থাকে এবং অর্থ সংক্রান্ত কাজে বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। বাস্তুবিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
মানি প্ল্যান্ট গাছ সম্পর্কিত কিছু বিশেষ বিষয় জেনে নেওয়া উচিত ।
অগ্নি কোণ অর্থাত্ দক্ষিণ-পূর্বকে বাড়িতে অর্থোপার্জ বৃ্দ্ধির জন্য সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি এই দিকটিতে রোপণ করার মাধ্যমে ধনাত্মক শক্তি বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ-পূর্ব দিকের কার্যকারক গ্রহটি শুক্র। শুক্রের দিকের দিকে এই গাছ থাকার ফলে আর্থিক দিক উন্নতি হয়।
মানি প্ল্যান্ট গাছ বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত নয়। বৃহস্পতি উত্তর-পূর্ব কোণে একটি উপাদান। শুক্র এবং বৃহস্পতি উভয়ই একে অপরের শত্রু। এ কারণে শুক্রের উদ্ভিদটি উত্তর-পূর্ব দিকে রোপণ করা উচিত নয়।
মানিপ্ল্যান্ট গাছ যত সবুজ হয় ততই শুভ। এর পাতাগুলি বিবর্ণ, হলুদ বা সাদাকে অশুভ বিবেচনা করা হয়। এজন্য এর খারাপ পাতা অবিলম্বে ছিঁড়ে ফেলা উচিত। গাছটি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত।
বাড়িতে মানি প্ল্যান্টও রাখলে আর্থিক উন্নতি হয়। তবে এতে সময়ে সময়ে জল দেওয়া উচিত ও পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া উচিত।
মানি প্ল্যান্ট একটি লতা জাতীয় গাছ। তাই এটি উপরের দিকে যাতে সঠিক ভাবে বাইতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এই গাছটি যদি মাটিতে ছড়িয়ে যায় তবে বাস্তু দোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
0 comments:
Post a Comment